বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা করণীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তা করা হবে- সেনাবাহিনী প্রধান

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টারঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে ফের তাণ্ডব চালিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে একের পর এক সরকারি ব্যাংকে হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। দুই দিনে তিনটি ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা করেছে এর সদস্যরা। নাথান বম নামে এক ব্যক্তির সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। শান্তি আলোচনার আড়ালে কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা করণীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তা করা হবে। কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় সেনাপ্রধান বলেন, যা আমাদের করণীয় আমরা সব করছি এবং যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে শনিবার রাতে কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এবং কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছিল, কিন্তু আলোচনা শেষ হওয়ায় আগেই অশান্তি শুরু হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ে অশান্তি কেটে যাবে এবং শান্তি ফিরে আসবে।

এর আগে সেনাপ্রধান হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে বান্দরবান সেনা রিজিয়নে পৌঁছান। পরে রিজিয়ন কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে।

অন্যদিকে রোববার সকাল থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও লুটকরা টাকা ও অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী সমকালকে জানান, অভিযান শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই সব আসামিদের আটক করা হবে।

Related posts

Leave a Comment